চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
ভারতে পাচারের আগেই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা মূল্যের ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম ওজনের ২১টি অবৈধ স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত পৌঁনে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক হায়দার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে।
সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় তারই নেতৃত্বে বিজিবির একটি সশস্ত্র দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা পৌর এলাকার ইশ্বরচন্দ্রপুর রাস্তার ওপর এ্যাম্বুশ করে। এদিন আনুমানিক বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে বিজিবি’র দলটি একটি মোটরসাইকেলযোগে ২জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে। ওই সময় তাদের থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহীদের ১জন মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অন্যজন নেমে পাশের একটি ছোট পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরবর্তীতে টহলদল পানিতে নেমে জেলার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে আবদিন মিয়াকে আটক করে। আটকের সময় সে তার হেফাজতে থাকা ১টি প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বিজিবি তার দেহ তল্লাশীর সময় অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১টি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরবর্তীতে বিজিবি দলের সদস্যগণ পুকুর থেকে চোরাকারবারীর ফেলে দেওয়া অপর প্যাকেটটিও উদ্ধার করে। উদ্ধারকরা ২টি প্যাকেট হতে ২১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আটক ব্যক্তির ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন সেট এবং নগদ ২০২ টাকা জব্দ করা হয়। উদ্ধারকরা স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম। উদ্ধার করা স্বর্ণের তালিকা মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা।
ঘটনার ব্যাপারে নায়েক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে আটক ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। উদ্ধারকরা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিডি/ এআর