চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আলী আকবর (৫৪) নামের একজনকে বেধড়ক মারধর, রাইফেলের বেওয়ানেট দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে। আহত আলী আকবর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাজপাড়ার মৃত নুর ইসলামের ছেলে।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে আলী আকবরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবারের সদস্যরা এ সময় বিষয়টি জানাজানি হয়।
এর আগে শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে স্থানীয় এক যুবক ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এসময় তার হাত-পায়ের ক্ষতস্থানগুলোতে একাধিক সেলাই দেয়া হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোপন রাখার চেস্টা করেন।
আহত বৃদ্ধ আলী আকবর বলেন, খুব সকালে চা পান শেষে হুদাপাড়া সীমান্তের কাছাকাছি গেলে তিন বিএসএফ সদস্য আমাকে ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদেরকে বলি, আমি সীমান্ত অতিক্রম করিনি।
আমাকে ছেড়ে দেন, তবুও তারা আমাকে রাইফেলের সামনের অংশ (বেওনেট) দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে খোচাতে থাকে এবং পেটাতে থাকে। এরপর আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
অহতের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, ওই দিন ভোর বেলা স্থানীয় এক যুবক হুদাপাড়া সীমান্তের পাশে একটি কৃষি জমিতে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ দেখে কুড়ুলগাছি গ্রামের পারভিন ড্রাগ হাউজ ডা. আকরাম হোসেনের (সাবেক উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) কাছে নেয়া হয়। তিনি হাত-পায়ের বিভিন্নস্থানে একাধিক সেলাই দেয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা শুনেছি, বিএসএফের সদস্যরা আলী আকবরকে বেধড়ক মারধর করেছে।
জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি-৬) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাজমুল হাসান বলেন, তিনি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি। সীমান্তের কোন পিলার এবং কোন স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বিডি/এআর